বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:১৪ পূর্বাহ্ন
জগন্নাথপুর নিউজ ডেস্ক :: হুঁশ ফিরেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রশাসনের। শনিবার মাওলানা যোবায়ের আহমদ আনসারীর নামাজে জানাযায় নির্বিঘ্নে প্রায় লাখো মানুষের অংশ গ্রহনের পর সন্ধ্যা থেকে কয়েকটি গ্রামকে লকডাউন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। ১১ই এপ্রিল গোটা জেলাকে লকডাউন ঘোষনার পর নতুন করে এসব গ্রাম লকডাউনে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হল জানাযার পর। গ্রামের মানুষকে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতেও বলা হচ্ছে।এদিকে জানাযায় মানুষের স্রোত ঠেকাতে ব্যর্থ হওয়ায় সরাইল থানার ওসিকে প্রত্যাহার করা হয় শনিবার রাতে। আশুগঞ্জ উপজেলার খড়িয়ালা, বৈগইর, মৈশাইর, সরাইল উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের শান্তিনগর, সীতাহরণ, বড়ইবাড়ি ও বেড়তলা গ্রামের মানুষের প্রতি এসব নির্দেশনার বিষয়ে মাইকিংও করা হয়। গ্রামের কেউ আগামী ১৪ দিন বাড়ি থেকে বের হলেই আইন শৃঙ্খলাবাহিনী কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষনা দিয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সরাইল (সার্কেল) মাসুদ রানা জানান, গ্রামের বাসিন্দাদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে এবং তা বাস্তবায়নে ৭ গ্রামকে লকডাউন ঘোষনা করা হয়েছে। হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চত করতে এলাকাগুলোতে সার্বক্ষণিক পুলিশের টহল থাকবে। সেই সাথে এই গ্রামের কাউকে গ্রাম থেকে বের হতে দেয়া হবে না।
খোলা থাকবে না কোন কোন দোকানপাট। শনিবার সকাল ১০টায় আর্ন্তজাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ইসলামী চিন্তাবিদ ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা যোবায়ের আহমদ আনসারীর নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। তার প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসার প্রাঙ্গন ছাড়িয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত জানাযার নামাজ বিস্তৃত হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাড়াও দেশের বিভিন্নস্থান থেকে শীর্ষস্থানীয় আলেম-উলামারা নামাজে জানাযায় যোগ দেন। ট্রাক-পিকআপে করে সকাল থেকে স্রোতের মতো মানুষ আসা শুরু হয়।
এদিকে মাওলানা জুবায়ের আহমদ আনসারীর নামাজে জানাযায় লোকসমাগমের বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে না পারায় শনিবার রাতে সরাইল থানার ওসি শাহাদত হোসেন টিটুকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তরে তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জেলা পুলিশের একটি সূত্র নিশ্চিত করে।
Leave a Reply